পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (এসইই)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি “Go Green: Planet vs Plastic”। পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এ অনন্য কর্মসূচির মূল আকর্ষণ ছিলো “প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছের চারা বিতরণ”।
কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ফিতা কেটে মূল কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মহসিন হোসাইন খান।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর সমাজ নির্মাতা। পরিবেশ রক্ষায় তাঁদের এমন সৃজনশীল ও মানবিক উদ্যোগ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। প্লাস্টিক দূষণ বর্তমান বিশ্বের জন্য এক মহাসংকট। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে, এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এই কর্মসূচি শুধু একটি ইভেন্ট নয়, বরং একটি বার্তা—যা সবুজ পৃথিবী গঠনে এক নতুন ভাবনার সূচনা। আমি আশা করি, এ কর্মসূচির মডেল অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও অনুসরণীয় হবে।”
উদ্যোগটি প্রাণবন্ত করে তুলতে স্টলে আয়োজন করা হয় গেমস কর্ণার ও জুস কর্ণার। গেমস কর্ণারে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মাঝে বিতরণ করা হয় বিভিন্ন ফুল ও ফলজ গাছের চারা। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গেমস-এ অংশগ্রহণ করেন এবং বিনিময়ে গাছের চারা সংগ্রহ করেন। একইভাবে, অনেক শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসবাসী পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট ও অন্যান্য সামগ্রী জমা দিয়ে সংগ্রহ করেন সবুজ গাছের চারা—যা পরিবেশ রক্ষার প্রতীক হিসেবে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচির ফাউন্ডার আফিয়া তাহমিন জাহিন এবং কো-ফাউন্ডার মো: ফারদিন হাসান। তাঁদের নেতৃত্বে স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন পুরো আয়োজন। তারা মনে করেন এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ পবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষণীয় ও আনন্দদায়ক এক অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে।
স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (এসইই) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনা করতে আগ্রহী। তাঁদের বিশ্বাস, এ কর্মসূচি পরিবেশ রক্ষায় একটি সচেতন প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহায়ক হবে এবং প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াবে।